নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস থেকে পাবর্ত্য এলাকায় নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের ২০ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে ২ কোটি টাকায় ৩০ হাজার ইউনিফর্ম তৈরি করা হচ্ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এতো বিপুল সংখ্যক ইউনিফর্মের গন্তব্য কোথায় সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
গত ১৭ মে রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস থেকে পোশাকগুলো জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকরা হয় তিনজনকে। এদের মধ্যে ওই কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলামও রয়েছেন। বাকি দুজন পোশাকগুলো তৈরির অর্ডার এনেছিলেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ প্রধানত বান্দরবান কেন্দ্রিক বিভিন্ন স্থানে তৎপর বলে জানা গেছে। উঁচু পাহাড়ে বসবাসকারী বম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরাই এই সংগঠনের প্রধান চালিকা শক্তি। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ, চাঁদাবাজি, ব্যাংক লুট, থানায় হামলাসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমেই এই সংগঠন আলোচনায় এসেছে বারবার। নিরাপত্তাবাহিনীর জোর তৎপরতায় বছরখানেক ধরে খুব একটা দৃশ্যমান ছিল না এই সংগঠন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বায়েজীদ থানায় পুলিশের করা মামলায় কারখানা মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি মাসে এসব ইউনিফর্ম সরবরাহের চুক্তি ছিল পোশাক কারখানাটির।
পোশাক কারখানাটির কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা তৃতীয় পক্ষ হিসেবেই এসব পোশাকটি তৈরি করছে। পোশাকটি কার জন্য কোথায় নেওয়া হচ্ছে সেটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটি নিয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা।
তবে পাবর্ত্য এলাকায় সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে কম কেএনএফের জন্য একসাথে এতো ইউনিফর্ম কেন বানানো হচ্ছে সেটি অবাক করেছে বিশ্লেষকদের। এতে এই অঞ্চল নিয়ে ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনও যুক্ত থাকার পাশাপাশি এসব ইউনিফর্মের গন্তব্য দেশের সীমানার বাইরেও হতে পারে বলে ধারণা করছে তাঁরা।