1. admin@timesnews71.com : অ্যাডমিন :
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ স্কিম জোরদারে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর | টাইমস নিউজ ৭১
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ত্রী সহ সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নাখোস, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তাব – স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে টোল আদায় সাড়ে ৩ কোটি মধুখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে বাসের ধাক্কা, আহত ২০ কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ স্কিম জোরদারে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর ডিসিপ্লিন মেনে চললে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে — স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরিবেশসম্মতভাবে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলের সহযোগিতা কামনা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গুরুর দাম কম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আসন্ন কোরবানির ঈদে নিরাপত্তা সহ সার্বিক প্রস্তুতি ভালো রয়েছে — স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ স্কিম জোরদারে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ স্কিম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান K-COMWEL এর মধ্যে গতকাল একটি সমঝোতা পত্র (Letter of Intent) স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এবং GIZ-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের ভিত্তিতে এই চুক্তি সম্পাদন করা হয়।  

গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদর দপ্তরে এ সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প (EIS) বাস্তবায়নের জন্য পুনর্বাসন পরিষেবা, পেশাগত রোগ কভারেজ ও প্রশাসনিক ব্যয় বিষয়ে গভীর সমীক্ষা পরিচালনায় দু’দেশ একত্রে কাজ করবে। EIS বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক, প্রশাসনিক ইউনিট ও স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হবে। সেসাথে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধির পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় EIS চালু করার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করবে। এটি বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য ও কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

২০২৪ সালে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়ার K-COMWEL (Korea Workers Compensation & Welfare Service) পরিদর্শন করে এবং ODA-ভিত্তিক সহযোগিতার পথ সুগম হয়। ILO-এর ২০১৫ সাল থেকে চলমান গবেষণা ও চলতি পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

উভয় দেশ ILO-এর কনভেনশন ১২১ (কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ সুবিধা, ১৯৬৪) অনুযায়ী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সমঝোতা পত্র আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি না করলেও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও জাতীয় EIS বাস্তবায়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।  

এ প্রকল্পে ILO, GIZ এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় অংশীদারদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার K-COMWEL তাদের কারিগরি জ্ঞান ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের টেকসই ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।  

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করেন। এ সময় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক Mia Seppo উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ টাইমস নিউজ ৭১
Theme Customized By Times News 71