1. admin@timesnews71.com : অ্যাডমিন :
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে জরুরি ও সমন্বিত কার্যক্রম শুরু | টাইমস নিউজ ৭১
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্রশাসনের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে এক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা ও সততার সাথে কাজ করতে হবে। —- সিনিয়র সচিব এএস এম সালেহ আহমেদ রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ জরুরী শারমীন এস মুরশিদ। ফরিদপুর চিনিকল আখচাষী কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত রোজি উইন্টারটন বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ জলবায়ু ও জ্বালানি রূপান্তরে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা জরুরি — পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ হতে মাসব্যাপী সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুরু —- অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান অক্টোবর মাস ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস গবাদিপশুর তালিকায় মহিষকে যথাযথভাবে স্থান দেওয়া হয়নি – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের নিজস্ব আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান

অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে জরুরি ও সমন্বিত কার্যক্রম শুরু

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫

টাইমসনিউজ ডেস্ক:-

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদিপশুর সাথে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় রোগটির বিস্তাররোধ এবং নিয়ন্ত্রণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জরুরি ও সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জুনোটিক রোগ, যা গবাদিপশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, স্হানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে গবাদিপশুর টিকাদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উঠান বৈঠক, পথসভা, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গবাদিপশুর তড়কা রোগ প্রতিরোধে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করাসহ মাঠ পর্যায়ে আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ, অসুস্থ পশু জবাই প্রতিরোধ এবং খামারের প্রতিটি পশুকে টিকার আওতায় আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

‘ওয়ান হেলথ’ কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত উঠান বৈঠক ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছেন। অসুস্থ পশু জবাই না করা, মৃত পশুকে খোলা স্থানে বা পানিতে না ফেলা, বরং গভীরভাবে মাটিচাপা দেওয়া এবং যেকোনো পশুজনিত অসুস্থতার ক্ষেত্রে দ্রুত নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতাল বা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাকে অ্যানথ্রাক্সে বেশি আক্রান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অতিসত্বর প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান রংপুর বিভাগে প্রায় ৩০ লাখ অ্যানথ্রাক্স টিকা সরবরাহ করবে, যার মধ্যে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাতেই ২০ লাখ টিকা প্রেরণ করা হবে।

এছাড়া মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের উৎস ও পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর উচ্চপর্যায়ের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে। টিমটি আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অ্যানথ্রাক্স রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

#

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ টাইমস নিউজ ৭১
Theme Customized By Times News 71