1. admin@timesnews71.com : অ্যাডমিন :
স্ত্রীসহ বাথরুমে ৫ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের, যেভাবে পালালেন | টাইমস নিউজ ৭১
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়,নয় অন্য কোন দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ — তারেক জিয়া আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় – ভৌগোলিক অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না: বিমানবাহিনীর প্রধান সমাজে নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি নিবেদিত প্রাণ — সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা “টেকসই নগর পরিকল্পনায় তরুণদের ভাবনা-২০২৫” প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ” জনগণের চাপ থাকলেই সরকারের কাজ বৃদ্ধি পায় কার্যকর হয় : পরিবেশ উপদেষ্টা শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলেছে — উমেমা ফাতেমা সরকারি যাকাত তহবিল দারিদ্র্যবিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে — ধর্ম উপদেষ্টা পাবনা জেলা শাখার মুখপাত্র জুলাই কন্যা অসুস্থ সিরাজুম মুনিরাকে(২০) দেখতে যান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা প্রজাতন্ত্রের কর্মীরা দেশের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন — প্রেস সচিব সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এভাবেই ফিরে আসতে পারতো — সারজিস

স্ত্রীসহ বাথরুমে ৫ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের, যেভাবে পালালেন

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫

টাইমসনিউজ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী সরকারের। গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালান ক্ষমাতচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দেশ ছাড়েন আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ওই দিন তার বাঁচার কথা ছিল না বলে জানিয়েছেন।

তার ভাষ্যমতে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন ৫ ঘণ্টা এক বাথরুমে স্ত্রীসহ লুকিয়ে ছিলেন তিনি। সেদিন বেঁচে থাকাটা পরম সৌভাগ্যের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এক সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই তিনি ওই দিনের ঘটনা বর্ণনা করেন।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, অমল সরকারকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। তবে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে সেই সাক্ষাৎকারের সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ওই ভিডিওতে দেখা যায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি খুবই ভাগ্যবান, সেদিন আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। মৃত্যু থেকে অনেক কাছে ছিলাম।

আমারই সংসদ এলাকার আমার নিজের বাসাকে এড়িয়ে পার্শ্ববর্তী আরেকটা বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তখন চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। এটা আসলে ছিল প্রধানমন্ত্রীর (সাবেক) গণভবন কেন্দ্রিক।
তিনি বলেন, আমি যে বাসাটায় ছিলাম, তারা সে বাসাতেও হামলা করে। তারা জানত না, যে সেখানে আমি আছি।

আমার বাসা তারা ‘লুটপাট’ করেছে, কিন্তু যে বাসায় আমি গিয়ে আশ্রয় নিলাম, সেখানে হামলা করবে আমি ভাবতে পারিনি। দেখলাম অনেক লোকজন ঢুকে পড়েছে। তারা ভাঙচুর ও ‘লুটপাট’ করতে থাকে। আমি আমার স্ত্রীসহ বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম। অনেকক্ষণ ছিলাম, প্রায় ৫ ঘণ্টা। তারপর একটা পর্যায়ে তারা বাথরুমে ভেতরেও কমোড-বেসিন এগুলো ‘লুটপাট’ করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার স্ত্রী তখন বাথরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বারবার বলছিলেন যে আমি অসুস্থ, যাতে করে তাদের প্রবেশ ঠেকানো যায়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক ভেতরে ঢোকার হুমকি দিতে থাকে, বাথরুমে কী আছে তা লুট করতে চায়। এই অবস্থায় আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী করব? আমি বললাম, দরজা খুলে দাও।

এরপর ৭-৮ জন যুবক ভেতরে ঢোকে, এবং তারা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আচরণ করতে থাকে। হঠাৎ তারা আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘নেত্রী তো চলে গেলেন, আপনি যাননি কেন?’ আমি তখন কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু এর মাঝেই তারা আচরণ পাল্টে ফেলে। কেউ একজন বলে, ‘আপনার ছবি তুলব’, তারপর শুরু হয় ছবি তোলা, কেউ কেউ সেলফিও নেয়। ধারণা করি, এদের মধ্যে অনেকেই আমাকে চিনতো।

তিনি জানান, ঠিক কী কারণে প্রথমে তাদের মধ্যে এত আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল, আর কেন হঠাৎ করে সেই আচরণ শীতল হয়ে গেল- তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। আচমকাই তারা ঠান্ডা মাথায় কথা বলা শুরু করে। তাদের মধ্যেই একটা গ্রুপ তখন চাইছিল তাকে রাস্তায় নামিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে, আবার কেউ কেউ চেয়েছিল জনতার হাতে তুলে দিতে। এই পরিস্থিতি তার মনে গভীর চাপ ও মানসিক ভাঙন সৃষ্টি করে। এরপর তারা তাকে একটি শার্ট, লাল পতাকাসংবলিত ব্যাজ এবং মুখে কালো মাস্ক পরিয়ে সংসদ এলাকা থেকে গণভবন অভিমুখী বড় রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। হঠাৎ কোথা থেকে একটি খালি ট্যাক্সি বা ইজি বাইক এসে হাজির হয়- সেই মুহূর্তে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। তিনি মনে করেন, এটি হয়তো তার ভাগ্যের বিষয় ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে দু’জন তাকে ও তার স্ত্রীকে সেই গাড়িতে তোলে এবং পথে যেতে যেতে চারপাশের চেকপোস্ট ও লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি, বিরক্ত করবেন না।’ এইভাবেই তারা তাকে অনেক দূরের একটি জায়গায় নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ভাবতেও পারিনি যে যারা কয়েক মিনিট আগে বাথরুমে জোর করে ঢুকেছিল, তারাই আমাদের এভাবে রক্ষা করবে। সেদিন বেঁচে যাওয়া ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। এটা ছিল পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ টাইমস নিউজ ৭১
Theme Customized By Times News 71